(Career) ক্যারিয়ার শব্দটি শুনতে বেশ ভালোই লাগে। আরও যদি চোখ বন্ধ করে কল্পনার জগতে চলে যাই, তাহলে আরও না কত সুন্দর ভাবে বাস্তব জীবনের মতো মানিয়ে নেই। কল্পনার জগতে আমরা কত জন কত কিছুই না হই। কেউ বা ব্যারিষ্টার, কেউবা ডাক্তার, আবার কেউ বা বিজ্ঞানী। এছাড়াও আমরা যুবক বয়সের ছেলেরা বেশিরভাগ সময়ই কল্পনায় নায়ক হয়ে যায়। আসলেই এটার ক্যারীয়ার নাকী কল্পনা। আজকে আমি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব যে, ক্যারিয়ার কী, ও কেন এবং কিভাবে মানবজীবনে ফুটিয়ে তুলতে হয় এবং এর অর্থ কী?

তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক, তো শুরু করার আগে আপনারা যারা পাঠক আছেন তারা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি পড়বেন এবং এর প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করবেন। আর একটা কথা না বললেই নয়, পোষ্টে যদি কোন ভাষার, বা কোন অসংগতি লক্ষ করেন তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে কমেন্ট করবেন। অবশ্যই আমি সুলশন দেওয়ার চেষ্টা করব। মনে রাখবেন “মানুষের জানার কোন শেষ নেই”
Oxford Dictionary (অক্সফোর্ড ডিক্সনারীটি)খুললেই আমরা পেয়ে যাব ক্যারিয়ার অর্থ দ্রুতগতি,বেগ, জীবনের অগ্রগতি বা ধারা, জীবিকা অর্জনের উপায়কেই বুঝায়। কিন্তু এখানে একটি কথা বলে নেয়া ভাল জীবন বলতে যদি আমরা শুধু এই পার্থিব জীবন পৃথিবীকেই বুঝি, তবে ছোটবেলার মত ডাক্তার, ব্যারিষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বা অত্যাধিক সাহসীর মত প্রেসিডেন্ট হওয়াকে জীবনের লক্ষা বা Aim In Life বানানো যায়।
আমরা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এ পাই, আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন দুনিয়াতে খেলাফতের দায়িত্ব আর এটা সঠিকভাবে পালনের ওপরই নির্ভর করছে আল্লাহর সন্তষ্টি। সুতরাং আমার জীবনের মূল লক্ষ বা এইম ইন লাইফ হবে খেলাফতের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন। আর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া হবে সেই মুল লক্ষ অর্জনের উপলক্ষ। যাকে ইংরেজি আমরা সাব এইম বলতে পারি। তবে আধুনি জাহেলিয়াতের যুগে মোকাবেলার জন্য এই সাব এইম এর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং সঠিক নিয়তের মাধ্যমে বস্তগত বা দুনিয়ার ক্যারিয়ারের অর্জনও হতে পারে দ্বীন প্রতিষ্ঠার অন্যতম ভিত্তি। অর্থ্যাৎ আমরা যাই হতে চাই না কেন, তা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। কারণ শেকসপিয়রের কথাটি মূল্যবান, “ I Wast Tim and now time wastes me.” এমনকি ডিকেন্স ও বলেছিলেন, “বড় হতে হলে সর্বপ্রথম সময়ের মূল্য দিতে হবে”। সময়ের কথাটি বলতে এসে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোট বেলায় সুন্দর একটি কথা শিখেছি এবং তা কখলও ভূলার নয়। “সময় স্রোত কাহারো জন্যে অপেক্ষা করে না।” (Time and tide wait for none.) তবে ক্যারিয়ার অর্জনের একটি সুস্পষ্ট সুউচ্চ টার্গেট মানুষের সাধন ও গতিকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে। যে সময় পারস্য সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বব্যাপি এক অপরাজয়েও শক্তি আর মুসলমানদের ছিল হাতেগোনা সামান্য ক’জনার মিলিত ঈমানী শক্তি, ঠিক সেই সময়ের মুসলিম কর্তৃক পারস্যের পদানত হওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন আল্লাহ রাসূল (সাঃ)। এটি একদিকে যেমন কারেদেন হাসাহাসির কারণ হয়েছিল, অপরদিকে মুসলমানদের দীপ্ত সাহসী ও পরিশ্রমি করেছিল। আর এভাবেই পরর্তীতে পারস্য বিজয় সম্পন্ন হয়েছিল।
বিশ্বজয়ী এক অনন্য বীর জুলিয়াস সিজার বলতেন, “অধিকাংশ মানুষ বড় হতে পারে না- কারণ সে সাহস করে আকাশের মত সুউচ্চ টার্গেট ঠিক কর সে দিকে তাকাতে পারে না।” । আর একটি কথা না বললেই নয় সেটি হচ্ছে- অদম্য পরিশ্রম। (Industry is the mother of good luck).আল্লাহ বলেছেন, “তিনি পরিশ্রমের ভেতর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।’ রাসুল (সাঃ) স্বয়ং পঞ্চান্ন বছর বয়সে রমজান মাসে সত্তর মাইল পাহাড়ী রাস্তা হেটে বদর যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। বৈজ্ঞানিত টমাস এডিসন বলেছেন, “আমি সমস্ত জীবনে একদিনও কাজ করিনি।” অথচ প্রত্যহ সোল থেকে আঠার ঘন্টা তিনি কাজ করেছেন। কিন্তু যেহতেু গবেষণা ছিল তার কাছে খেল তামাশার মত। সুতরাং তিনি পরিশ্রান্ত হননি। শুধু তাই নয়, জাপান বিশ্বের এক নম্বর শিল্পোন্নত দেশ, কারণ জাতি হিসাবে তারা অতন্ত পরিশ্রমি, এমনকি প্রতি বছর এ দেশ থেকে প্রায় ১০ (দশ) হাজার মানুষ অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে মারা যায়। আর মজার কথা হলো বাংলাদেশে অলসতার কারণে কয়েক লক্ষ লোক মারা যায়। এজন্য বাংলাদেশ অর্থনীতিতে এত পিছিয়ে। যদি লক্ষ ঠিক থাকে, অবশ্যই একদিন সে সফল হবে। সে মানুষ হোক বা জাতি।নোবেল বিজয়ি বার্নার্ডশ বলেছেন, “আমি কাজ করি, বাবা যেমন মদ খেতেন ঠিক তেমনিভাবে, এই আমার স্নায়ু রোগ”। আর তিনি পরিশ্রান্ত হননি কখনো। সুতরাং কাজকে বানাতে হবে খেলার মত মজাদার বিষয়। আর লেখা পাড়া ক্ষেতে একই কথা। এ প্রসঙ্গে ফ্লপার এর বক্তব্যটি গুরুত্বপুর্ণ। তিনি বলেছেন, I Slept and dreamed that life was beauty. I wake-and found that life was duty.
মোটামুটি আমার এই লেখনীয় শেষ। ভুল ক্রটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
কিছু কথাঃ
রাসুলের (সা.) মদিনা কেন্দ্রিক ইসলামী রাষ্ট তার জীবদ্দশাতেই ৩০ থেকে ৩০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারে পরিণত হয়েছিল এবং প্রায় হাজার বছর পৃথিবীর নিয়ন্ত্রনকারী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনতভাবে আজ আমরা চরম অধঃপত্তি হয়েছি আর তাই আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন, গুজরাট, কাশ্মির, চেচনিয়া, বসনিয়া, মিন্দানাও প্রভুতি দগদগে ঘা আমাদের কলিজা ছিড়ে ফেলেছে। আর এর কারণ একটিই, আমরা আত্নগঠন ও আত্তোন্নয়ন হতে অনেক অনেক দুরে। ঠিক এমনি একটি প্রেক্ষপটেই মোরা বড় হতে চাই বইটির অবতারণা।
অবশ্যই অবশ্যই বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল ।
সবাইকে ধন্যবাদ

Entrepreneur, Writer And Author. Also Founder Of Googlebio Organization.